ব্রিটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাজিদ জাভিদ।
পাকিস্তানের সাবেক বাস চালকের ছেলে জাভিদের এ নিয়োগ ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে বিস্ময় তৈরি করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোমবার নিয়োগপ্রাপ্তির পর পরই অভিবাসন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং মানুষের ‘মর্যাদা এবং সম্মানকে’ অক্ষুণ্ন রাখার ব্যাপারে তিনি অভিবাসন নীতি পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্য গিয়ে প্রথমে কাপড়ের কারখানায় শ্রমিক এবং পরে বাস চালাতেন জাভিদের বাবা।
জাভিদের এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে শুধু প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবেই নয়, এই প্রথম কোনো মুসলিম ব্রিটেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।
ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন সম্পর্কিত সরকারি নীতি নিয়ে কেলেঙ্কারির মুখে রোববার রাতে পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড।
বিবিসি বলছে, প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীর সন্তান হয়ে সাজিদ জাভিদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হবে অভিবাসন নিয়ে ব্রিটেনের জনগণের উদ্বেগ সামলানো।
তথাকথিত ‘উইন্ডরাশ’ কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্রিটেনের বর্তমান কনজারভেটিভ সরকার সম্প্রতি প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে।
প্রধানত ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫০ এবং ৬০ দশকে আসা অভিবাসী, যাদেরকে উইন্ডরাশ প্রজন্ম বলে অভিহিত করা হয় – তাদের অনেককে হঠাৎ করে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে ঘোষণার কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে ফাঁস হয়ে পড়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা নিয়ে সরকারের গোপন টার্গেটের অন্যায় বলি হয়েছেন বহু পুরনো অনেক ক্যারিবীয় অভিবাসী এবং তাদের সন্তানরা। এ নিয়ে সরকারের ভেতরেও ক্ষোভ তৈরি হয়।
সাজিদ জাভিদ রোববার পর্যন্ত কম্যুনিটিজ এবং আবাসন মন্ত্রী ছিলেন, তিনিও অভিবাসন সম্পর্কিত ওই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।
টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, তিনি নিজেও উইন্ডরাশ প্রজন্মের সন্তান, তার বাবা-মাকেও হয়তো রাতারাতি অবৈধ হয়ে যেতে হতো।