জয়ের জন্য রজস্থান রয়্যালসের শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৭ রান। হাতে তাদের ছয় উইকেট। তার চেযে বড় কথা ব্যাটে তখনও ওপেনে নামা রাজস্থান অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু তিনি ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। সাকিবদের হায়দরাবাদের কাছে রাজস্থান হেরেছে ১১ রানে।
আজিঙ্কা রাহানে আইপিএলের প্রথম অধিনায়ক যিনি দুটি অর্ধশতক করে অপরাজিত থেকেও দলের জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি। আর সব ধরণের টি২০ মিলিয়ে চতুর্থ অধিনায়ক তিনি। এর আগে ধোনি, ডেভিড মিলার এবং ক্রিস মরিস সব ধরণের টি২০ মিলিয়ে দুটি করে অপরাজিত অর্ধশতক করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
প্রথমে টসে জিতে সাকিবের দল হায়দরাবাদ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বেশি রান জমা করতে পারেনি হায়দরাবাদ। কিন্তু অন্য ম্যাচগুলোর মতো এ ম্যাচেও হায়দরাবাদ বোলাররা প্রমাণ করেছেন যে রান হয়েছে তাই যথেষ্ঠ। হায়দরাবাদের হয়ে বেশি রান করেন দলীয় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি ৪৩ বলে ৬৩ রান করেন।
এছাড়া পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ শেখর ধাওয়ানের আরেক ওপেনিং সঙ্গী অ্যালেক্স হেলস করেন ৩৯ বলে ৪৫ রান। সাকিব ব্যাটিংয়ে ছিলেন ব্যর্থ। তিনি ৬ বল মোকাবেলা করে মাত্র ৬ রান করে ফিরে যান। এছাড়া মনিশ পান্ডে, ইউসুফ পাঠান, ঋদ্ধিমান সাহারা কেউ বলার মতো রান করতে পারেনি। হায়দরাবাদ তাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে পারে।
জবাবে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করে রাজস্থান। হায়দরাবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি রাজস্থান। দলের অধিনায়ক ৫৩ বলে ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও ম্যাচ জিতে ফিরতে পারেননি। এছাড়া রাজস্থানের ব্যাটসম্যান সানজু স্যামসন ৩০ বলে ৪০ রানের এক ইনিংস খেলেন।
সাকিব এ ম্যাচে দলের দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে নেন। তার প্রথম ওভার থেকে ৯ রান আসে। এরপর দলীয় সপ্তম ওভারে এসে দেন ৭ রান। শেষমেষ ৪ ওভার হাত ঘরিয়ে বাংলাদেশের বামহাতি স্পিনার ওভারপ্রতি ৭.৫০ রান রেটে দেন ৩০ রান। যা টি২০ হিসেবে খারাপ না। তবে সাকিব কোন উইকেট নিতে পারেননি। হায়দরাবাদের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন সন্দীপ শর্মা ও সিদ্ধার্ত কাউল। সন্দীপ ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রানে নেন ১ উইকেট। আর কাউল ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। রশিদ খান তার ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।