রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) রোববার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকায় অস্ত্রোপচারসহ পুরো সেবা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পঙ্গু হাসপাতাল নামে অধিক পরিচিত এ হাসপাতালটিতে। এ সময় হাসপাতালের জেনারেটর সার্ভিসও বন্ধ ছিল।
তবে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গণি মোল্লা পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার খবর সঠিক নয়। মূল ভবনের পাশে আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এতে কোনো স্থানে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে সংকট তৈরি করেছিল। তবে এক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়।’
বিদ্যুৎ সংকটের সময় জেনারেটর চালু না করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের পিডব্লিউডি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে পরিচালক বলেন, সরকারি সব হাসপাতালে ভবন, জেনারেটর পিডব্লিউডি কর্তৃপক্ষ দেখভাল করে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর তারা জেনারেটর চালু করেনি। এতে রোগীর অস্ত্রোপচার কাজ ব্যাহত হয়েছে। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল হাসপাতালটিতে। এর পর বিদ্যুৎ এসে আবার দেড়টার দিকে চলে যায়। ফের ৩টা ২২ মিনিটে বিদ্যুৎ আসে। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় জরুরি অস্ত্রোপচার ব্যাহত হয়। বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছিল ওয়ার্ডগুলোতে।