পোস্ট সরিয়ে ফেলে এখন বলছেন হ্যাকড হয়েছে : রিজভী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

সমালোচনার মুখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে পোস্ট দেয়া সকল ডকুমেন্টস সরিয়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশের মানুষের সমালোচনা ও প্রত্যাখানের মুখে শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক থেকে উপস্থাপিত কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। তিনি তার ফেসবুকে পোস্ট করা সকল ডকুমেন্টস সরিয়ে নিয়ে এখন বলছেন তার ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে। মূলত প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করে তিনি সবার কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘তারেক রহমান ব্রিটেনের আইন মোতাবেক সেখানে বসবাস করছেন, যে কথাটি আমি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে বার বার উপস্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র ও তদবির করে ব্যর্থ হয়ে তার কেবিনেটের প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করাচ্ছেন।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাই- আপনি কীভাবে দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন? রাজনৈতিক আশ্রয়ে কীভাবে ছিলেন? আপনার ছোট বোন শেখ রেহানা কীভাবে ব্রিটেনে অবস্থান করেছিলেন? গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখতে পেলাম। জাতির সামনে এর জবাব দেবেন কী?’

তিনি বলেন, ‘বিনা ভোটের সরকারকে সবসময় জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েই চলতে হয়। আমি পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি। যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে শত শত দেশের নাগরিকরা যেভাবে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম নিয়ে অবস্থান করেন সেভাবেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টে পলিটিক্যাল অ্যাসাইমেন্টের জন্য তার পাসপোর্টটি জমা দিয়েছেন, সারেন্ডার করেননি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।