চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির ভয়ে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া এখনও বাড়িছাড়া বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় রনি রাশেদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। রনির হুমকিতে নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাশেদ।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর সমকালকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারের পরিচালককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চাঁদাবাজির মামলা ও জিডি দুটোই তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও তার পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।
রাশেদ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় মামলা করার পরপরই তিনি লোকজন নিয়ে তার বাসায় যান। সেখানে না পেয়ে তার কোচিং সেন্টারে যান। বাসায় কাউকে না পেয়ে হুমকি দিয়ে আসেন। এ কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জীবননাশের আশঙ্কায় তিনি বাসায় না থেকে আত্মীয়স্বজনদের বাসায় দিন কাটাচ্ছেন।
রনির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে বৃহস্পতিবার রনি দাবি করেন, ব্যবসায়িক সূত্রে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদের কাছে তিনি সাড়ে নয় লাখ টাকা পাবেন। ওই টাকার জন্য কোচিং সেন্টারে গিয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়াকে রনির চড় মারার ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছয় মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, রাশেদ মিয়াকে ১৩টি চড় মারেন নুরুল আজিম। ভিডিও চিত্রটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারির বিকেলের। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা দায়ের করন রাশেদ।
এর আগেও ৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহেদ খান বাদী হয়ে নুরুল আজিমসহ ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নগরের চকবাজার থানায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেছিলেন।