কলকাতা ইডেন গার্ডেনে একদিন আগেই এসে খেলে গেলেন সাবেক তিন নাইট সাকিব আল হাসান, ইউসুফ পাঠান এবং মনিশ পান্ডে। সাবেক তিন তারকার হাতেই পরাজয় ঘটেছিল শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সাকিবের বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৩৮ রানে থমকে যেতে হয় কেকেআরকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১ ওভার হাতে রেখেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
অসাধারণ বিজয়ের এই ম্যাচে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। ব্যাট হাতে ছিলেন মোটামুটি সফল ২১ বলে করেছিলেন ২৭ রান। এছাড়া শেষ দিতে ইউসুফ পাঠান ৭ বলে করেন ১৭ রান।
একদিন পরই কলকাতায় খেলতে এসেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। যে দলটির অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। তার হাত ধরেই দু’বার শিরোপা ঘরে তুলেছিল কেকেআর। কলকাতার সোনালি সময়টাতে কেকেআরকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গম্ভীর। সাকিব-ইউসুফ পাঠানদের মত এবার আর গৌতম গম্ভীরকে দলে রাখেনি কলকাতা। ছেড়ে দিয়েছিল।
সে সুযোগটা গ্রহণ করে দিল্লি। তারা দলে নেয় গম্ভীরকে। শুধু তাই নয়, নেতৃত্বটাও দিয়ে দেয় তার কাঁধে। কলকাতা ছাড়ার পর এই প্রথম তাদেরই প্রতিপক্ষ হয়ে খেলতে এলেন গম্ভীর। আগের ম্যাচেই যেহেতু সাবেক তিন নাইট হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল কলকাতাকে, সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীরও। তিনি চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসানদের মত হতে, হারিয়ে দিতে শাহরুখ খানের দলকে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য গম্ভীরের। সাকিব আল হাসান হতে পারলেন না তিনি। টস জিতে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠানোর পর গম্ভীরের বোলারদের তুলোধুনো করে কেকেআর সংগ্রহ করে ২০০ রানের বিশাল স্কোর। বিশাল রানের নিচে চাপা পড়ে দিল্লির অবস্থা হলো তথৈবচ। ঋশাভ পান্ত এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাঝে কিছুটা ঝড় তুললেও মাত্র ১৪.২ ওভারেই ১২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। হেরে যায় ৭১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
গৌতম গম্ভীর যেমন বোলার ব্যবহারে বিজ্ঞতার পরিচয় দিতে পারেননি, পিটুনি খেয়েছেন। তেমনি ব্যাট হাতেও ছিলেন ব্যর্থ। ইনিংস ওপেন করতে নেমে মাত্র ৭ বল খেলে ৮ রান করে আউট হয়ে যান। কলকাতায় তার ফিরে আসাটা স্মরণীয় হলো না। ব্যর্থতা সঙ্গী করে ফিরে গেলেন দিল্লিতে।