কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাবি শাখার আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মহাসড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১০টায় সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছে।
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আকতার বানু ও ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কনক। তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক উল্লেখ করে তাদের আন্দোলনে থাকার ঘোষণাও দেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান আন্দোলনে সংহতি জানানোর জন্য।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকায় আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা ও আটককৃতদের মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। এছাড়া সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার ও আহতের চিকিৎসা ও আটককৃতদের মুক্তি না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সকাল ১১টা থেকে রুয়েটের প্রধান ফটকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় রুয়েটের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করতে চাইলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ রুয়েটের ফটক খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন।
এছাড়া বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নগরীর কাজলায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর তালাইমারি এলাকায় অবস্থান নেন।