বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকারি ‘এজেন্ট’ দিয়ে ভিসির বাসভবনে হামলা করা হয়েছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী হামলা চলাকালে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এ হামলা পরিকল্পিত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য বলেন। তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকারের এজেন্টদের দিয়ে হামলা করা হয়েছে কি না। আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশের ১০ মিনিটের মাথায় এ হামলা সংঘটিত হয়। হামলার সময় সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল এবং কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’দের দখলে ছিল। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ছাড়া আর কেউ এ ধরনের হামলা ও ভাঙচুর করার সাহস রাখে কি? তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে হানাদার বাহিনীর হামলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ছাত্রছাত্রীদের ওপর গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল দিয়ে যে নির্যাতন করা হয়েছে এবং শত শত ছাত্রছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় যেভাবে কাতরাচ্ছিল, সেটা দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিন্দার ঝড় চলছে।’
এ সময় রিজভী অভিযোগ করেন, কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করাসহ নানাভাবে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে অর্থোপেডিক বেড দেওয়ার সুপারিশ করলেও সেটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে কষ্ট দিতে সরকারের নির্দেশে জামিন স্থগিত করে রাখা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।