মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ চীন, নীরব রাশিয়া!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

পরমাণু কর্মসূচিতে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তার অভিযোগ তুলে রাশিয়া ও চীনের ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ঘটনায় ব্যাপক চটেছে বেইজিং।

তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনও নীরব রয়েছে রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের আগে চীন-রাশিয়াসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞার পর এবার উল্টো চীন ও রাশিয়ার ৬ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপরই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিল ওয়াশিংটন। এর ফলে নিষোধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো লেনদেন বা বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।

এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন পদক্ষেপ আরও চাপ বাড়াবে উত্তর কোরিয়ার ওপর। অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিনের বক্তব্য, ‘উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে আমাদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহায়তাকারীদের মার্কিন আর্থিক কার্যক্রম থেকে বিচ্যুত করার এই পদক্ষেপ চলতে থাকবে। ’ তবে এই নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ বেইজিং জবাবে বলেছে, চীনের প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির মুখে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র যে ভুল করেছে, তা অবিলম্বে শোধরাতে হবে।

যদিও মস্কো তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ক’সপ্তাহ আগে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও ওয়াশিংটন দূতাবাসে তাদের কূটনীতিক কমিয়ে ফেলার আদেশের প্রতিবাদে ক্রেমলিনও মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে কূটনীতিক কমিয়ে ফেলার আদেশ দেয়। একইসঙ্গে মস্কোয় সন্দেহভাজন কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিকের ব্যবহার্য গুদাম ও স্থাপনা জব্দ করে ফেলে। ওই ঘটনায় সেসময় হোয়াইট হাউস-পেন্টাগন বেশ উত্তেজনা ছড়ায়।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে গত ক’মাস ধরেই পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন ও তার মিত্র সিউল-টোকিওর বাকযুদ্ধ চলে আসছে। উভয়পক্ষই দিয়ে আসছে পাল্টাপাল্টি হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়াকে ‘শায়েস্তা’ করার হুমকি দেওয়া হলে পাল্টা পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহে জানায়, তারা গুয়ামে হামলার পরিকল্পনা।