কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সালমান খানকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই তাকে যোধপুর কারাগারে নেওয়া হয়। জামিন পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ কারাগারেই রাত কাটবে সালমানের। খবর এনডিটিভির।
যোধপুরের আদালত থেকে সালমানকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সে সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
২০০৬ সালেও এই যোধপুর কারাগারে পাঁচরাত কাটাতে হয়েছিল সালমানকে।
এদিকে সালমান খানের পাঁচ বছরের সাজা হওয়ায় বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলিউডের বেশ কয়েকজন প্রযোজক ও পরিচালক। অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং ও মুক্তি।
চলতি বছর ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা সালমান খান অভিনীত ‘রেস থ্রি’। অন্যদিকে অতুল অগ্নিহোত্রীর ‘ভারত’ এবং আলি আব্বাস জাফরের ‘কিটি’-তেও রয়েছেন সালমান। টিভি শো ‘দশ কা দম’, ‘বিগ বস ১২’-এর সঞ্চালনাতে না দেখা যেতে পারে সালমানকে। সব মিলিয়ে পরিচালক-প্রযোজকরা প্রায় ৫০০ কোটি রুপি ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জি-নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ বছর আগের এই মামলায় সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় যোধপুরের আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই ধরনের কাজ সালমানের ‘অভ্যাসগত অপরাধ’।
একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন বলিউড তারকা টাবু, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে, সাইফ আলি খান।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন সালমান। এসময় কালো রঙের ‘লাকি’ শার্টটি পরেছিলেন তিনি।
এর আগে এই মামলায় বারবার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন সালমান। কিন্তু তার কোনো যুক্তিই এবার আদালতে টেকেনি।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৯/৫১ ধারায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন সালমান। এই আইনে সর্বোচ্চ ৬ বছরের কারাদণ্ডের এবং সর্বনিম্ন ১ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সালমন খানের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ ওঠে সাইফ আলি খান, টাবু, নীলমসহ একাধিক তারকার বিরুদ্ধে।
বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রায় দু’দশক ধরে নানা উত্থান পতন হয়েছে ওই মামলার।