বেরোবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২:০১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী স্বাধীনতা স্মারক-এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

সকাল ৮টায় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ, দপ্তর সহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ। শোভাযাত্রাটি ১ নং খেলার মাঠ থেকে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মডার্ণ মোড় হয়ে অস্থায়ী স্মাধীনতা স্মারকে এসে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ অস্থায়ী স্বাধীনতা স্মারক-এ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এরপর বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, নীল দল, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগ, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয় ।
রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এইচ.এম.তারিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর খেলা মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নুর আলম সিদ্দিক স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন জনাব ফেরদৌস রহমান, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তির প্রাক্কালে দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো এই অর্জন অনেক আগেই হতো। তবুও আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু করা হবে। এছাড়াও দ্রুত ডিজিটালাইজেশন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে পেপারলেস করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান, সেজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন তিনি। প্রশাসনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট এবং গতিশীল হবার আহ্বানও জানান তিনি।

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া এবং খেলার মাঠে সকাল ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন রকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ।

মহান স্বাধীনতা দিবসের শেষ আয়োজনে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সকালে বৃক্ষরোপন, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ বই মেলার স্টল উদ্বোধন, শিশুদের  চিত্রাঙ্কন

প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর।