২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ-জি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসিকে এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
একই আয়োজনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পৃথক মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনা চলছে।
মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ফোর-জি সেবা চালুর ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল। ফাইভ-জি চালুর ক্ষেত্রে আর পিছিয়ে পড়া যাবে না। ২০২০ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু হবে অধিকাংশ দেশে। তাই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশেও এই সেবা চালু করতে হবে।
বিটিআরসিকে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সময়োপযোগী অগ্রগতি ছাড়া কোনো দেশ এগোতে পারবে না। তাই উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে মানসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে টেলিযোগাযোগ খাতের ভূমিকা নিয়ে রোববারের ওই সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া। বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার ও মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবীর।
আলোচনা সভায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পৃথক মূল্য নির্ধারণের কথা ভাবছেন তারা। তরুণ প্রজন্ম ইন্টারনেটের সৃষ্টিশীল ব্যবহারে অভ্যস্ত হচ্ছে না- দাবি করে তিনি বলেন, তরুণদের বেশিরভাগই ফেসবুক চ্যাটে সময় কাটাচ্ছে, যেটাকে সৃষ্টিশীল ইন্টারনেট ব্রাউজিং বলা যাচ্ছে না। ফেসবুক অনেকটা আসক্তি বা ডিজিটাল কোকেন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহারে পৃথক মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে তরুণদের সৃষ্টিশীল ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা যাবে বলেও দাবি করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান।