ব্রাজিলের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবেন রোনালদিনহো

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ব্রাজিল এবং বার্সেলোনা কিংবদন্তি রোনালদিনহো বুটজোড়া তুলে রেখেছেন বেশ কিছুদিন আগে। এখন হয়েছেন ফুটবলের শুভেচ্ছা দূত। বার্সেলোনার শুভেচ্ছা দূত হয়ে বেশ কিছুদিন আগেই এদেশ-সেদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। এবার রোনালদিনহোর ব্রত হলো মানবসেবার। সে লক্ষ্যে তো উপর্যুক্ত জায়গায় যেতে হবে! সুতরাং, রোনালদিনহো জড়িয়ে পড়ছেন রাজনীতিতে। প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন নির্বাচনে। সে লক্ষ্যে মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষরও করে ফেলেছেন ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

আগামী অক্টোবরেই ব্রাজিলের সাধারণ নির্বাচনে হয়তো সিনেট কিংবা চেম্বার অব ডেপুটিসের যে কোনো একটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। গত বছর ফুটবলকে পুরোপুরি বিদায় জানানোর পরই রোনালদিনহো ঘোষণা দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে যে কোনো সময় রাজনীতিতে নামতে পারেন তিনি। তার সেই ইচ্ছা পূরণ হতে যাচ্ছে মাত্র এক বছরের মাথায়।

ব্রাজিলিয়ান রিপাবলিকান পার্টির (পিআরবি) হয়ে নিজের জন্মস্থান ব্রাসিলিয়াতে নির্বাচনে লড়াই করবেন রোনালদিনহো। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য পার্টির কাছে তার পক্ষ থেকে যে সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে, সেগুলোয় অনুমোদন দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ব্রাজিলের কিংবদন্তি এই ফুটবলার।

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রোনালদিনহো বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে, এমন একটি প্রজেক্টে আমি যোগ দিয়েছি যেখান থেকে আমার দুর্বিনীত ইচ্ছা, মানুষের মধ্যে আনন্দ এবং সু-স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ বন্দোবস্ত করা। একই সঙ্গে আমাদের দেশটির উন্নতি এবং আধুনিকতার সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন ঘটানোর।

পিআরবি প্রেসিডেন্ট এবং ব্রাজিলের সিনেটর এদুয়ার্দো লোপেজ বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রোনালদিনহোর অন্য অনেক স্মরণীয় ঘটনার মতই একটি ঘটনা।’

জাতীয়প্রচ্ছদপ্রশাসন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago