বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল ইউক্রেন। আর সে কারণে ইউক্রেনের আনাচে-কানাচে কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ ইলিয়ানোভ লেনিনের মূর্তি ছিল অসংখ্য।
তবে সোভিয়েত যুগের সব চিহ্ন সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি লেনিনের মূর্তিগুলোও সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয় ইউক্রেন।
অনেকেই অবশ্য এ মূর্তি ও স্মৃতিচিহ্নগুলো ধ্বংসের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, এ ঘটনায় শুধু নাম কিংবা ভাস্কর্যই ধ্বংস হচ্ছে না, পাশাপাশি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সোভিয়েত যুগের ইতিহাসও।
সোভিয়েত যুগের পরিসমাপ্তি ঘটার প্রায় দুই যুগ পরেও ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে সগর্বে দাঁড়িয়ে ছিল লেনিনের অসংখ্য মূর্তি। তবে ইউক্রেনের বর্তমান সরকার কমিউনিস্ট যুগের এ স্মৃতি চিহ্ন রাখতে মোটেও আগ্রহী নয়। এ কারণে বলশেভিক এ নেতার সব মূর্তি সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সম্প্রতি খবরে প্রকাশ, ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে থাকা ১৩২০টির মধ্যে সবগুলো মূর্তিই সরিয়ে ফেলেছে ইউক্রেন সরকার।
২০১৫ সালের মে মাসে ইউক্রেন সরকার সোভিয়েত আমলের সব স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তটি আইন হিসেবে পাস করার উদ্যোগ নেন প্রেসিডেন্ট পেট্রো পরোশেনকো।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত শুরু হয়। তার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয় ইউক্রেন। ইউক্রেনে সোভিয়েত আমলের অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন ছিল। এসবের মধ্যে বহু রাস্তা ও স্থাপনা ছিল। সবগুলোর নামই ইউক্রেন সরকার পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বহু রাস্তার নাম পাল্টে ইউক্রেনের বীরদের নামে রাখা হয়। লেনিন স্ট্রিটের নাম পাল্টে রাখা হয় লেনন স্ট্রিট, যিনি ইউক্রেনের একজন বীর।
সোভিয়েত আমলের সব স্থাপনার নাম পাল্টানো সহজ কাজ ছিল না। রীতিমতো বিশাল কর্মযজ্ঞ। এ কাজের অংশ হিসেবে সোভিয়েত আমলের লেনিনের মূর্তি ছাড়াও ১,৬৯টি অন্যান্য স্মৃতিসৌধও ধ্বংস করা হয়।