শের-ই-বাংলা মেডিকেলে প্রধান সহকারী লাঞ্ছিত, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবামেক) প্রধান সহকারীকে লাঞ্ছিত ও প্রধান সহকারী কর্তৃক ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে অবজ্ঞা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে এ নিয়ে কর্মচারী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মুখোমুখি অবস্থানে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত করে। এসময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরাও হাজির হন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়াম ভাড়া নেওয়ার জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাজু আহমেদ বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দুপুরে কলেজ অধ্যক্ষের স্মরণাপন্ন হন।

এসময় অধ্যক্ষ মৌখিকভাবে অডিটরিয়াম ভাড়া দেওয়ার অনুমোদন দিয়ে তাকে প্রধান সহকারী আ. জব্বার মিয়ার কাছে যেতে বলেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাজু প্রধান সহকারীকে তার কক্ষে না পেয়ে তাকে কল করেন। এসময় প্রধান সহকারী সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি রাজু আহমেদ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন প্রধান সহকারীকে লাঞ্ছিত করেন।

কলেজের স্টোরকিপার জাহাঙ্গীর ও নাদিরুজ্জামান জানান, প্রধান সহকারীকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি বেলা ১১টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে জানাতে যান কর্মচারীরা।

এর কিছুক্ষণ পরই ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কলেজের কয়েকজন ছাত্র প্রশাসনিক শাখায় এসে প্রধান সহকারীকে খুঁজতে থাকেন। এসময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অধ্যক্ষসহ সিনিয়র শিক্ষকরা তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।

এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাজু আহমেদ বলেন, প্রধান সহকারী তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তারপরও তাকে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু সকালে অনেকটা ঘেরাও কর্মসূচির মতো কিছু কর্মচারী কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।

বিষয়টি জানতে পেরে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্ররা কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে আসলে কর্মচারীরা চলে যান। পরে অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।

এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হচ্ছে।