নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন শাহরিন আহমেদ ও শাহীন ব্যাপারীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের অস্ত্রোপচার চলে। এর পর শাহরিনকে কেবিনে এবং শাহীনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে আহত কবির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দু’জনের অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসাইন ইমাম জানান, শাহীন বেপারীর শরীরে প্রায় ৩৫ শতাংশ গভীর ক্ষত রয়েছে। এ জন্য তাকে কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করতে হবে। শাহীনের বাঁ হাত ও পিঠের কয়েক জায়গায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পোড়ার কারণে তার শরীরে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। এ কারণে ফুসফুসে সমস্যা হচ্ছে। তাই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শাহরিনের কাঁধে তীব্রভাবে দগ্ধ হয়েছে। তার শরীরে নতুন চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানান, শাহীন ও কবিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল। আহত রিওজানুল হক ও ইমরানা কবিরকে সিঙ্গাপুরে এবং ইয়াকুল আলীকে ভারত নেওয়া হয়েছে।
বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লুৎফুর কাদের লেলিন সাংবাদিকদের বলেন, রিওজানুল হকের স্কিন ড্রাফটিং করা হয়েছে। চলতি মাসের ২৮ অথবা ২৯ তারিখে তাকে দেশে আনা হতে পারে। মঙ্গলবার ভোরে ইমরানা কবির হাসির জ্ঞান ফিরেছে। হাসিও ভালো আছেন।
গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ চার ক্রুসহ ৭১ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
এ দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ সোমবার দেশে আনা হয়। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।