বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন।
তিনি বলেছেন, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে, বিদেশে পাচার করে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হচ্ছে। লুটপাটকারীদের এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবন দেননি, দেশ স্বাধীন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে এই অপমানের হাত থেকে বাচানো ১৬ কোটি মানুষের পবিত্র কর্তব্য। যারা জাতীয় সম্পদ লুটপাট করছেন, তাদেরকে কাঠগড়ায় নিয়ে দাঁড় করাতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনেজাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মাহতাবুল বাশার, মোশারফ হোসেন, সংগঠনের সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্টত্মফা আমীন প্রমুখ। সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করে সভায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক ড.কামাল হোসেন বলেন, এ দেশের সম্পদ লুটপাট হয়ে যাবে আর আমরা কি নিরব দর্শক হিসেবে বসে দেখতে থাকবো। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বড় বড় পোস্টার, বঙ্গবন্ধুর ছবি একটা কোনায়। ছোট একটি চিহ্নের মতো। যদি বঙ্গবন্ধুর শত্রুদের একটি সরকার থাকতো। তাহলে বলা যেত বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার জন্য বাতাস দিয়েছে। কিন্তু এটা তো বলা যায় না। আওয়ামী লীগের সরকারের সময় এটা দেখতে হচ্ছে।
ব্যাংকের টাকা লুটপাট প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এ ঘনিষ্ট সহচর বলেন, আপনারা ছয় দফা, এগারো দফা আন্দোলনের ইতিহাস জানেন। পুঁজি পাচার এক নম্বর অপরাধ- আমরা যার জন্য পশ্চিামাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে, রুখে দাঁয়েছিলাম। কিন্তু এখন পত্রিকায় যদি দেখতে হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, কেউ অস্বীকার করে না। অর্থমন্ত্রীও অস্বীকার করেন না। যা পাচার হচ্ছে তার দলিল আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- আত্মসাৎকারীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে না।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংসদে অধিকাংশই ছিলেন আইনজীবী। আর ৯০ সালের পর থেকে সংসদে আর আইনজীবীদের দেখা যায় না। ৭০ ভাগই এমপিই ব্যবসায়ী। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।