শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গত শনিবার জয় লাভের পরই নাগিন ড্যান্সে মেতে উঠেছিলেন মুশফিক। সেই নাগিন ড্যান্স এখনো ভুলেনি ক্রিকেট দুনিয়া। ফের যেন ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ উইকেটে জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। নির্ধারিত ওভারে ১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
লর্ডসের ব্যালকনিতে উদোম শরীরে জার্সি উড়িয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
এবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে জয়ের উত্তেজনায় খালি গায়ে ছুটলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গোটা বাংলাদেশ দল নাগিন নাচ শুরু করল। ততক্ষণে ম্যাচ শেষের আগের বলে ছক্কা মেরে মাহমুদুল্লাহ বেঙালুরুর ঋণ শোধ করেছেন। প্রায় হারতে বসা ম্যাচটি জিতিয়ে বাংলাদেশকে তুলে দিয়েছেন নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। টান টান উত্তেজনা। দ্বিতীয় বলে রানআউট হয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্ট্রাইকে থাকার কথা মাহমুদুল্লাহর। কিন্তু আম্পায়ার তাকে স্ট্রাইকে দেবেন। এ নিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাহমুদুল্লাহ আর রুবেলকে উঠে আসতে বললেন। কিন্তু রিয়াদ নিজের উপর আস্থা রেখে ম্যাচ শেষ করতে ফের ব্যাটিং করেন।
আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারিসহ অন্য কর্মকর্তারা থামালেন। স্ট্রাইকে থাকলেন মাহমুদুল্লাহই। তৃতীয় বলেই মারলেন বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে দুই রান। আর প্রয়োজন ৬ রান। পঞ্চম বলে ইসুরু আদানাকে ছক্কা মেরেই বাংলাদেশকে ২ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর এতেই শ্রীলঙ্কার ৭০তম জাতীয় দিবসের টুর্নামেন্ট নিদাহাস ট্রফির ১৮ মার্চের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
অবশ্য শেষ দুই বলের আগে এই ম্যাচে কম ক্লাইমেক্স হয়নি। এই ম্যাচটিতে ওয়াকওভার পেয়েই ফাইনালে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু শ্রীলঙ্কা যতটা না জয়ের জন্য খেলছিল ততটাই মাঠের দুই আম্পায়ার শ্রীলঙ্কাকে জিতানোর চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল।
পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিল যে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ আর নতুন ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেনকে। তারা বের হবারও প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।
তবে সেই সময়টায় বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ ‘ডিসকোয়ালিফাইড’ হতো, ওয়াকওভার নিয়ে ফাইনালে চলে যেতো শ্রীলঙ্কা। অবশেষে মাহমুদুল্লাহর অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতেই ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ।