আবিদ কলকাতা এটিসিকে- ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (সঙ্গে) যোগাযোগে ছিল। বিমানটি ভারতের নেপাল সীমান্তে আকাশসীমা অতিক্রম করার সময় পাইলট আবিদ সুলতানকে নেপাল এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে কলকাতা এটিসি।
এসময় শেষবারের মত কলকাতা এটিসিকে পাইলট আবিদ বলেছিলেন ‘ওকে, গুডবাই’। কলকাতা এটিসির ব্যবস্থাপক বরুণকুমার সরকারকে উদ্ধৃত করে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, কাঠমান্ডু থেকে তখনও পনেরো মিনিটের আকাশ-দূরত্বে ছিলেন পাইলট আবিদ। কলকাতা এটিসি ততক্ষণ পর্যন্ত নজরে রাখছিল ইউএস বাংলার বিমানের গতিবিধি।
দুপুর প্রায় পৌনে তিনটার দিকে কলকাতায় বসে কন্ট্রোলার পাইলট আবিদকে বলেন, ‘কনট্যাক্ট কাঠমান্ডু কন্ট্রোল’। ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের কণ্ঠ, ‘ওকে, গুড বাই’। তখন বিমানটি ২৪ হাজার ফুট ওপরে উড়ছিল। এটিই ছিল কলকাতা এটিসিকে তার শেষ বার্তা। দুর্ঘটনায় ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানও নিহত হয়েছেন।
সাধারণত বাংলাদেশের দিক থেকে যে সব বিমান ভারতের আকাশে ঢোকে, তাদের কলকাতা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাজশাহির সীমান্ত পেরিয়ে। রাজশাহি পেরোলেই ঢাকা এটিসি বিমানের দায়িত্ব তুলে দেয় কলকাতা এটিসির হাতে। যেমন সোমবার দুপুরে এই বিমানের দায়িত্ব কলকাতা এটিসি তুলে দেয় কাঠমান্ডু এটিসির হাতে।
ইউএস বাংলার বিমানটিও প্রায় ২৫ মিনিট ভারতের আকাশে ওড়ার পরে ‘গুড বাই’ বলে পৌনে তিনটে নাগাদ ২৪ হাজার ফুট উপর দিয়ে পাইলট ঢুকে যান কাঠমান্ডু এটিসির আওতায়।
তার কিছু সময় পরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় কাঠমান্ডু বিমানবন্দর ‘নোটাম’ (নেটিস টু এয়ারমেন) জারি করে দিয়ে বন্ধ থাকবে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করে দেয়।
স্মরণকালে কোনো বাংলাদেশি বিমানের এটিই ভয়ংকর দুর্ঘটনা। এতে ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানাচ্ছে নেপালি কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন ২২ জন। সর্বশেষ বিমানটির পাইলট আবিদ সুলতানও মারা গেছেন।