ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি পশ্চিমাঞ্চলে বরিশালের বাস চলাচলে বাধা ও মির্জাগঞ্জ জেলায় বাস প্রবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বরিশালে মানববন্ধন করেছে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা বাস মালিক শ্র্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
সোমবার (১২ মার্চ) সকালে বরিশাল নগরের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বাস মালিক ও শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বরিশালের পশ্চিমাঞ্চল রুটে কোনো বাস চলাচল করতে দিচ্ছে না। তারা বে আইনি, অযৌক্তিক এবং সড়ক আইন ও মোটরযান আইন অধ্যাদেশের রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গ করে বরিশাল নগরের অংশ পাড় হয়ে হাইওয়ে রাস্তার পাশে অননুমোদিত বাস টার্মিনাল তৈরি করে এককভাবে গাড়ি পরিচালনা করছে।
এদিকে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুখালী এলাকায় কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় ও যাত্রী হয়রানিসহ বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা মালিক সমিতির গাড়ি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
বক্তারা আরও বলেন, এতে একদিকে যেমন যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, তেমনি বাস শ্রমিকদের আয় রোজগার বন্ধ রয়েছে। লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে বরিশালের বাস মালিকরা। এ অবস্থায় প্রশাসন যদি দ্রুত বাস চলাচলের কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ১৪ মার্চ থেকে লাগাতার বাস ধর্মঘট ডাকা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান শাহিন, বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহামুদসহ মালিক-শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধনে বরিশাল বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান শাহিন বলেন, যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি নিরসনকল্পে ঝালকাঠি ও তথাকথিত মির্জাগঞ্জ সমিতির অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি নিয়ে গাড়ি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা তুলে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে সুষ্ঠু গাড়ি চলাচলের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নয়তো ১৪ মার্চ থেকে বরিশাল বিভাগীয় দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চল রুটের সব সমিতি সমূহের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। যা রূপাতলী বাংলাদেশ চত্বর প্রদক্ষিণ করে।