সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে যাত্রা শুরু করেন সানজিদা হক বিপাসা। হিমালয়-কন্যা নেপাল ঘুরে বেড়াতে ছুটিও নিয়েছিলেন অফিস থেকে। বিপাসার সঙ্গে ছিলেন স্বামী রফিক জামান রিমু ও তাদের ছয় বছর বয়সী ছেলে অনিরুদ্ধ।
বিপাসাদের বহকারী উড়োজাহাজ নেপালের স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুতে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে উড়োজাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এর পর থেকে তাদের আর খোঁজ মিলছে না।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন সানজিদা হক বিপাসা। অফিসে বিপাসার পাশের ডেস্কেই বসতেন দ্যা হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈকত শুভ্র আইচ মনন। আবেগাপ্লুত মনন বলেন, স্বামী-সন্তানকে নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে গিয়েছিলেন বিপাসা। ১৭ মার্চ দেশে ফেরার কথা ছিল। আজ যখন নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজেটি বিধ্বস্ত হয় তখন আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। এখন পর্যস্ত বিপাসার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিপাসার স্বজনরা উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন। বিপাশার ভাই শাহরিয়ার মিঠুন বলেন, বেলা সাড়ে ১২টায় তাদেরকে তুলে দেওয়ার সময় সবশেষ কথা হয়েছিল। এরপর দুর্ঘটনার খবর শুনছি। আমরা খুবই আপসেট।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে দুই শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এরমধ্যে যাত্রী ছিলেন ৩১ জন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি ছেড়ে যায়। নেপালে পৌঁছানোর পর এটি বিধ্বস্ত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের ৫০ জন আরোহী মারা গেছেন বলে নেপাল পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নেউপানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।