সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন।  স্থানীয় সময় রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

এসময় বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জৈষ্ঠ মন্ত্রী অ্যামি কর এবং সেদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

পরে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সাংগ্রি-লা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন।

এর আগে রোববার সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বিমান বাংলাদেশ এয়রলাইন্সের বিমানটি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার সিঙ্গাপুর সরকার শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবে। অভ্যর্থনার পরে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের সঙ্গে ইস্তানায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সোমবার সকালে শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। লি সিয়েন লুংয়ের আমন্ত্রণেই দেশটিতে সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদারের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরে শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে একটি অর্কিডের নামকরণ করা হবে।

সফরকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের (আইই) মধ্যে বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, এয়ার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কনফিডেন্সিয়াল সমঝোতা স্মারক, ডিজিটাল লিডারশিপ, ডিজিটাল ইনোভেশন ও ডিজিটাল প্রশাসন রূপান্তর সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক সংগঠন সিঙ্গাপুর ম্যান্যুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের মধ্যে পৃথক দু’টি চুক্তি সমঝোতা স্মারক।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরাম-২০১৮ ও বালাদেশ সিঙ্গাপুর বিজনেস রাউন্ডটেবল শীর্ষক দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।

আগামী ১৪ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।