ইয়াবা বড়িসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কেবিন ক্রু আরিফ পাঠান রুহিদ ও ফেরদৌস আল মামুনকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে সৌদি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রিয়াদের ‘রেডিসন ব্লু’ হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এরপর থেকে তারা রিয়াদ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মঙ্গলবার ভোরে যাত্রী নিয়ে রিয়াদের উদ্দেশ্যে বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ওই ফ্লাইটের স্টাফদের মধ্যে কেবিন ক্রু আরিফ পাঠান রুহিদ ও ফেরদৌস আল মামুন ছিলেন। রিয়াদের বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তারা হোটেল ‘রেডিসন ব্লু’তে যান। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিয়াদের পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালায়। এসময় হোটেলের একটি কক্ষে থাকা ওই দুই কেবিন ক্রুকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম মোসাদ্দিক আহমেদ সমকালকে জানান, রিয়াদে মাদকদ্রব্যসহ বিমানের দুই কেবিন ক্রুকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে কী ধরনের মাদক জব্দ করা হয় সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ সমকালকে জানান, মাদকদ্রব্যসহ আটক কেবিন ক্রু আরিফ পাঠান রুহিদ ও ফেরদৌস আল মামুন এখনও রিয়াদের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। গত মঙ্গলবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিয়াদের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিমানের একটি ফ্লাইটে দায়িত্ব পালনে অন্যান্য স্টাফদের মধ্যে কেবিন ক্রু আরিফ পাঠান রুহিদ ও ফেরদৌস আল মামুন ছিলেন।
রিয়াদে পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় পরদিন বুধবার পরবর্তী ফ্লাইটে ওই দুই কেবিন ক্রু ঢাকায় ফেরেননি বলেও জানান শাকিল মেরাজ।