খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের অংশ হিসেবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে দলের সম্ভাব্য ৩০ জন প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হয়েছে।
ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম এই তালিকা দেন বলে শুক্রবার এলডিপির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে এদের মনোনয়ন দিতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কর্নেল (অব.) অলির মহাখালী ডিওএইচএস-এর বাসায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক হয়। এতে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্বাচন ও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কর্নেল অলি আগামী নির্বাচনে তার দলের সম্ভব্য ৩০ প্রার্থীর তালিকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেন।
জোটের প্রধান সমন্বয়ককে কর্নেল অলি জানান, সারাদেশের অন্তত একশ’টি আসনে নির্বাচন করার জন্য তার দল এলডিপি প্রস্তুত রয়েছে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এদের মধ্য থেকে অন্তত ৩০ জনকে মনোনয়ন দিতে হবে।
এই ৩০ জনের তালিকায় রয়েছেন- এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-১), অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোহম্মদ খলিলুর রহমান (জয়পুরহাট -২), প্রফেসর মোহম্মদ আব্দুল্লাহ (চাঁদপুর-৩), আব্দুল গণি (মেহেরপুর-২), সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষীপুর-১), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. কামালউদ্দিন মোস্তফা (মাগুরা-১), ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আলম (চট্টগ্রাম-৭), উপদেষ্টা মো. আবু জাফর সিদ্দিকী (ময়মনসিংহ-২), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নেয়ামুল বশির (চাঁদপুর-৫), যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), ড. জহিরুল হক (ঝালকাঠি-১), সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক (গোপালগঞ্জ-১), সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ বাশার (ময়মনসিংহ-৮), শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. এয়াকুব আলী (চট্টগ্রাম-১২), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হামিদুর রহমান (ময়মনসিংহ-৯), অ্যাডভোকেট চৌধুরী এম এ খাইরুল কবির পাঠান (নেত্রকোণা-৫), যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দীন টিটু (ঢাকা-৫), উপদেষ্টা অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন (বগুড়া-১), সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপিকা তপতী রানী কর (ময়মনসিংহ-৬), সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার (ঝালকাঠি-২), উপদেষ্টা শফিউল আলম ভূঁইয়া (চট্টগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেন (টাঙ্গাইল-৪), যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান (বগুড়া-৩), প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান (মাদারীপুর-২), মোস্তফা কামাল চৌধুরী (নওগাঁ-১) ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান রূপা (সুনামগঞ্জ-৩)।
এ প্রসঙ্গে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি এক সঙ্গেই চালাতে হবে। তারা শুধু আন্দোলনের জন্য জোটবদ্ধ হননি, নির্বাচনও লক্ষ্য তাদের। তাই সময় নষ্ট না করে নির্বাচন নিয়েও এখনই কথা বলতে হবে।