কোরবানির আগে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আগামী কোরবানির ঈদের আগে জিনিসপত্রের দাম আর বাড়বে না।’

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

ঈদুল আজহার আগে মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনটারই দাম বাড়বে বলে মনে হয় না।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং দল বাজারে যাচ্ছে না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নেই? আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকবে। তারা যাতে কোরবানির আগে ভাল করে মনিটরিং করে।’

ইতোমধ্যে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে গেছে- এ তিনি বলেন, ‘জিনিসটা আমি নিজে দেখব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জিনিসপত্রের দামের যে কথা বলছেন, আসলে জিনিসপত্রের দাম কিন্তু বাড়েনি। ঈদের সময় যা ছিল তা থেকে কমেছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কমা থেকে দু’একটি পণ্যের দাম হয়তো বাড়তে পারে। পেঁয়াজের দামের কথা বললেন, আমার এটা মনে হয় না (বেড়েছে)। বাজার স্থিতিশীল। এত কিছুর পরও রমজান মাসে আমাদের বাজার স্থিতিশীল ছিল।’

‘আমি বাণিজ্যসচিবকে বলব পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিটিং ডাকার জন্য, আমিও সেখানে থাকব। মিটিং করে করে আমরা একটা পদক্ষেপ নেব। ব্যবসায়ীরা আমাদের কথা দিয়েছে রোজার মাসে আর শুধু কোরবানি ঈদের সময়ই নয়, সারাবছরই জিনিসপত্রের দাম সাধারণ থাকবে’-বলেন মন্ত্রী।

এ সময় একজন সাংবাদিক মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছেন জানাতেই, বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু বলেন, ‘এটা খুবই সাময়িক। পরিবহনের সমস্যা রয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে, ট্রাক হয়তো আসতে পারছে না। এজন্য এমন হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চালের দাম কমে আসছে। চিনির দাম স্বাভাবিক। একটা জিনিস ভাল, যদিও এটা বলা উচিত না। যেহেতু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আছে এখন, বাজারে (দাম) যা চায় তাই দিয়ে কিনে। অনেকগুলো বাজার আছে, একেক বাজারে একেক দাম। এগুলো তো নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষ সম্ভব নয়। আমি মনে করি আমাদের সব কিছুই স্বাভাবিক আছে।’