অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে পারিশ্রমিক নিয়ে যুদ্ধের এখনও সমাপ্তি ঘটেনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও দিয়েছিল, সঙ্কট সমাধানের। কিন্তু দু’পক্ষের মধ্যে এখনও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়ে গেছে। ম্যারাথন মিটিং করেও একটি বিন্দুতে এসে পৌঁছাতে পারছে না কোনো পক্ষই। তবুও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা আশাবাদী, দ্রুতই সমঝোতায় পৌঁছে যাবেন তারা।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার নাইন টেনকওয়ার্ককে বলেন, ‘আগামী ২৪ কিংবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই একটা সমঝোতা তৈরি হয়ে যাবে এবং আমরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করব।’
ওয়ার্নারের বক্তব্য, তারা খেলোয়াড়। খেলাই তাদের পেশা। দ্রুতই তারা খেলার মাঠে ফিরতে চান এবং বাংলাদেশ সফরে যেতে চান। স্মিথ বলেন, ‘আমরা সেখানে (বাংলাদেশে) যেতে চাই এবং ক্রিকেট খেলতে চাই। এটাই আমাদের মূল কাজ।’
তবে সমঝোতা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই দীর্ঘ বৈঠক চলছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রতিনিধি অ্যালিস্টার নিকলসনের মধ্যে রোববারও রাত পর্যন্ত ম্যারাথন মিটিং হয়েছে। এরপর আজ (বুধবার) আবারও দীর্ঘ মিটিং করেছে তারা। কিন্তু মিটিংয়ের কী অবস্থা, কোন পর্যায়ে গিয়ে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে- এ বিষয়ে কেউই মুখ খুলছে না।
শুধু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র মিডিয়াকে বুধবার রাতে জানিয়েছেন, ‘আলোচনায় দারুণ অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও সমঝোতার বিষয়ে মন্তব্য করার মত সময় আসেনি।’
তবে ক্রিকেট.কম.এইউ জানিয়েছে, তারা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরযোগ্য এক সূত্র থেকে জেনেছে, এখনও তেমন কোনো সমঝোতা তৈরি হয়নি দু’পক্ষের মধ্যে। কারণ, বেশ কিছু বিষয়ে এখনও দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামীকালও যদি সমঝোতা তৈরি না হয়, তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একজন সাবেক বিচারকের অধীনে স্বাধীন সালিসের মুখোমুখি হবেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে তিনিই সিদ্ধান্ত জানাবেন, আসলে সমঝোতা কোন বিষয়গুলোতে হবে এবং এর মাপকাঠি কী হবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যকার আলোচনায় যদি কোনো পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারে, তাহলে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরই পড়ে যাবে সবচেয়ে বেশি হুমকিতে। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তি স্বাক্ষর না হলে তারা বাংলাদেশ সফরে আসবে না।