নীলফামারীতে বিয়ের দাবিতে….

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা লাবনী রানী (১৮) ৪ দিন ধরে প্রেমিক চন্দ্র কিশোরের (২৪) বাসায় অবস্থান করছেন। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নয়ানী বাকডোকরা গ্রামে।

লাবনী উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব নয়ানী বাকডোকরা গ্রামের বাবু লালের মেয়ে ও নয়ানী বাকডোকরা স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল সে। প্রেমিক চন্দ্র একই এলাকার জ্যোতিষ চন্দ্রের ছেলে।

লাবনী রানী জানান, আমার বড় ভাই মলয় রায়ের ভাল বন্ধু ছিল চন্দ্র। সেই সুবাধে সে আমাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো। ভাই বাড়ীতে না থাকলেও সে বাড়ীতে এসে আমার সাথে নানা রকম কথা বলতো। একদিন বাড়ীতে প্রবেশ করে ভাই না থাকায় সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এবং জোর করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি বাড়ীতে জানাতে চাইলে সে তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে। এরপর থেকে প্রতিদিন রাতে আমাদের বাড়ীর পাশে পুকুর পাড়ে আমরা দেখা করতাম। এইভাবে দুই বার আমার পেটে বাচ্চা আসে। সে বাজার থেকে ওষুধ এনে দিলে সেই ওষুধ খেয়ে আমি বাচ্চা নষ্ট করি। এভাবে কেটে যায় ৭ বছর। বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করতে থাকে। পরে জানতে পেরেছি সে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করবে। ঘটনা জানতে পেরে তাকে ফোন দেই। সে বলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বড় ভাই আমার বিয়ে দিচ্ছে তাই তুমি বাড়ীতে আস। তার কথামত শনিবার রাতে আমি তাদের বাড়ীতে আসি। আমাকে দেখতে পেয়ে সে পালিয়ে যায়। বাড়ীর লোকজন ঘরে ঢুকতে না দেওয়ায় আমি বাড়ীর খুলিতে অবস্থান করছি। এবং সেখানেই রাত্রি যাপন করছি।

লাবনীর ভাই মলয় জানান, বন্ধুত্বের সুযোগে সে আমার বোনের সাথে জঘন্য কাজ করেছে। এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত শনিবার থেকে আমার বোন চন্দ্রের বাড়ীর খুলির মধ্যে অবস্থান করছেন। এই ঝড়-বৃষ্টির রাতে সে সেখানেই রাত্রিযাপন করছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।