গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৩৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৭০ জন গ্রাম পুলিশের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিল আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার রিট আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। এখন দুটি রিটের রুলই এক সঙ্গে শুনানি হবে।
দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩ হাজার টাকা। গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এ বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।
আদালতে আজ ৭০ জন গ্রাম পুলিশের পক্ষে রাজশাহীর পবা উপজেলার সুইসাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ মো. আব্দুল বারী রিট আবেদনটি করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।