ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, সাইক্লোন শেল্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, সড়কসহ প্রায় ২০টি গ্রাম। ইতোমধ্যে এ ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে জেলার অনেক গ্রাম। প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙনের মাত্রা বেড়েই চলছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে কৃষ্ণকাঠি বাসস্ট্যান্ড ও কুতুবনগর মাদ্রাসাসহ এলাকার বসতবাড়ি। জেলার পশ্চিম দেউরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন জানান, নদীতীরের বেড়িবাঁধটি না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। এ ইউনিয়নের সাইক্লোন শেল্টারের পিলার এখন নদীর ভেতরে। ব্লক ফেলে বিষখালি নদীর এই ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাব ফাইলবন্দি হয়ে আছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া গ্রাম বিষখালি নদীতে ভেঙেই চলছে। এই এলাকায় নদীতীরে প্রায় দুই কি.মি. বিকল্প বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব বাস্তবায়নাধীন আছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদ আহম্মেদ বলেন, ঝালকাঠি পৌর বাসস্ট্যান্ড এবং কুতুবনগর মাদ্রাসা এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং পৌর মেয়র সুপারিশ করায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া ঝালকাঠি জেলার সকল নদী ভাঙন প্রতিরোধে নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন আছে।