নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে বাতিল হলো বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীজুড়ে টানা বিক্ষোভ চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানোর পাশাপাশি সরকার কারফিউ জারি করেছে।
এই অস্থিরতার মধ্যেই দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ছয়টায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান।
নেপালের ফুটবল কর্তৃপক্ষ প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও বাফুফে তাদের ফেসবুক পেজে ম্যাচ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় টিম ম্যানেজমেন্ট। মূলত যে কোনো ঝুঁকি এড়াতেই ম্যাচে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দলের ফ্লাইট ছিল বুধবার, তবে অস্থিরতার কারণে সেটি আগেই দেশে ফেরানোর উদ্যোগ চলছে।
কাঠমান্ডুর উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। অন্যদিকে, এই ঘটনায় ভেস্তে গেল বাংলাদেশ-নেপালের প্রীতি ম্যাচের পরিকল্পনা।