টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার মতো অবস্থায় চলে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনিই এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশকে। সাকিব আল হাসানের চোটে সহ-অধিনায়ক পদ থেকে এখন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, যার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম টেস্টে গর্বের ড্র পেয়েছে টাইগাররা।
অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল না। সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে দলের দায়িত্ব নেয়ার কথা ভাবেননি, চট্টগ্রাম টেস্টের আগে সেটাও জানিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত তার অধীনেই দল ভালো খেললো।
অধিনায়কত্বটা কি তবে উপভোগ করছেন? মনের মধ্যে এই পদটা পাওয়ার বাসনা ছিল কখনও? মাহমুদউল্লাহর উত্তর, ‘খুব গভীরভাবে চিন্তা করিনি। তবে সম্মানের ব্যাপার। প্রতিটি ক্রিকেটারেরই ইচ্ছে থাকে। পরের ম্যাচে সাকিব সুস্থ হয়ে গেলে ফিরবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার।’
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য পরের কথাটা বলেছেন যখন, তখনও জানতেন না ঢাকাতেও দলের দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধে। সুস্থ হয়ে না উঠায় সাকিব আল হাসান খেলতে পারবেন না, নিশ্চিত হয়ে গেছে।
চট্টগ্রামে ড্র টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে প্রাপ্তি কি মাহমুদউল্লাহর? অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান মনে করছেন, সবার রান পাওয়াটাই ইতিবাচক বিষয়, ‘প্লাস পয়েন্টের কথা বলবো, ব্যাটসম্যানরা সবাই রান পেয়েছে। কিন্তু মুশফিক ও লিটন সেঞ্চুরি পায়নি। ওদের তা প্রাপ্য ছিলো। তারপরও মুমিনুল ভালো করেছে। তামিম ভালো করেছে। ইমরুলও ভালো করেছে। সবাই কমবেশি ভালো ব্যাটিং করেছি। ইতিবাচক ব্যপারগুলো আমরা নিবো এবং দ্বিতীয় ম্যাচে তা কাজে লাগাবো।’
চট্টগ্রামে টেস্টে পাঁচ দিনে উইকেট পড়েছেন মাত্র ২৪টি। এমন উইকেট টেস্টের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়, ম্যাচ শেষে হতাশ কন্ঠে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হয়ে আসা দিমুথ করুণারত্নে।
তবে মাহমুদউল্লাহ উইকেটের সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় যে, ওদের ও আমাদের দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি জানি না, তিনি কোন দিক থেকে এ কথা বলেছেন। উনি কেমন উইকেট চান, তা তাকে জিজ্ঞেস করতে হবে। টেস্ট ম্যাচ সব সময় কঠিন। তা উইকেট স্পিন-পেসবান্ধব হোক বা স্পোর্টিং হোক। যদি রান রেট দেখেন, আমাদের দুই ইনিংসেই পৌনে চারের মতো ছিলো। এটা ভালো উইকেট ছিলো। দুই দলের ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে ভালো ব্যাটিং করেছে।’