নারী কর্মীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশে জোর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

লেখক:
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা আগে

কুয়েতে নারী কর্মীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় কুয়েতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলী তুনিয়ান আব্দুল ওহাব হামাদাহ উপদেষ্টার সাক্ষাতে এলে তিনি এ বিষয়ে জোর দেন।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতায় নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন এবং ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে তিনি বিদ্যমান সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কুয়েতের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া এবং সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্র অন্বেষণ এবং বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উৎসাহিত করেন।

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রদূত ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে এখানে সম্ভাব্য ব্যবসা ও বাণিজ্যের সুযোগগুলো অন্বেষণ করতে পারেন।

বৈঠকে উভয়পক্ষ কুয়েতে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং কল্যাণ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তারা কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুরক্ষা বৃদ্ধি, তাদের অধিকার এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেন।

গত বছর দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আওতায় কুয়েতে সম্প্রতি ৬৭০ জন বাংলাদেশি নার্সের নিয়োগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দক্ষ কর্মী এবং প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের সম্ভাবনা আলোচনায় উঠে আসে।

উভয়পক্ষ এটিকে জনশক্তি কর্মসংস্থান সহযোগিতা গভীর করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তারা কুয়েতে বাংলাদেশি পেশাদারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য আরও উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ ও আইটি বিশেষজ্ঞ।

উভয়পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মী নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়ে কাঠামোগত এবং কৌশলগতভাবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।