আজন্ম রোমান্টিক ও তারুণ্যের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে আড়াইটার দিকে পিজি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সুপার হোস্টেলের ম্যানেজার জায়েদ আল সাবিত বলেন, আমার সঙ্গে সর্বশেষ বারোটা চল্লিশ মিনিটে কথা হয়। বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। রক্তাক্ত অবস্থায় আনুমানিক ২টা ১০মিনিটের দিকে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌছানোর পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পিজি হাসপাতাল থেকে কবি হেলাল হাফিজের মরদেহ গোসলের জন্য মোহাম্মদপুর তাকওয়া মসজিদে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রাতে এনে আবারও পিজি হাসপাতালে রাখা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কবির ভাতিজি রিনি।
কবি হেলাল হাফিজের বড় ভাই দুলাল হাফিজ জানান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী তাকে ফোন করে কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের আবেদন জানান। দুলাল হাফিজ তার ছোট ভাই নেহাল হাফিজসহ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সরকারের সিদ্ধান্তে একাত্বতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, কবির প্রথম জানাজা আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমিতে এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ যোহর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে।
মৃত্যুর আগে কবি হেলাল হাফিজ কোথায় সমাহিত করা হবে এ বিষয়ে কিছু জানিয়ে গিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, মৃত্যুর পর কোথায় থাকবেন তা কখনো বলতেন না। তার আসলে আর কখনো ঘরে ফেরাই হলো না। আমরা চেয়েছিলাম তাকে বাবা মায়ের কবরের পাশে রাখার জন্য। সেটাও আর হলো না!