বরিশালে ২৪ অক্টোবর থেকে কিশোরীদের দেয়া হবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা

লেখক:
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে বরিশাল নগরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্যাপিত হবে। রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নগর ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নগর ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর ইতোমধ্যেই ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভায় এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং একই ধারাবাহিকতায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এ এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।

 

তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৩০ টি ওয়ার্ডে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য ৩২০ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৮ দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আর বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতায় ২১ হাজার ৭০৩ জন কিশোরী রয়েছে যাদেরকে এ টিকা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, ১৮ দিনের ক্যাম্পেইনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ দিন ৩২০ টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের এবং বাকি ৮ দিন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার টিকা (এইচপিভি)টিকা দেওয়া হবে।

সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য বিভাগ, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প, বিভিন্ন বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি সহ এই বৃহৎ টিকা কার্যক্রমে মোট টিকাদান কর্মী ২৪০ জন। পাশাপাশি ভ্যাকসিন পোর্টার ৬০ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক ৭২০জন পর্যায়ক্রমে ১৮ দিন এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কাজ করবেন। উল্লেখ্য বরিশাল সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ দিনই এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চলবে। ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্র সকাল সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এই ক্যাম্পেইনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি-বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে না ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার এক ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত,নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে কিশোরীদের অভিভাবকবৃন্দ এইচপিভি টিকার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং কিশোরীদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা.সজল পান্ডেসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।