৫ আগস্ট গণমিছিল ‘ডিসপাচের’ হুকুম দেন সাবেক আইজিপি শহীদুল

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত দিনে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে আসা গণমিছিল রুখে দিতে ‘ডিসপাচ’ করার বার্তা দিয়েছিলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক।

 

ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে শহীদুল হকের দেওয়া এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

গোয়েন্দা রমনা বিভাগের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বড় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের চূড়ান্ত দিন গত ৫ আগস্ট সকালে তার নামে একটি মোবাইল নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দুবার বার্তা দেওয়া হয়। বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল সেদিন আন্দোলন দমনে সক্রিয় ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে। যিনি বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।

উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে আসা গণমিছিল রুখে দিতে ‘ডিসপাচ’ করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এটা যদি সত্যি তিনিই করে থাকেন, তাহলে সেটা হবে ভয়াবহ উসকানি। ওই বার্তাটি তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কাকে কাকে এমন ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছি, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালের দিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ড অনুমতি চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদুল হককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার সাব-ইন্সপেক্টর বায়েজীদ বোস্তামী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান তিনি। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে নৌকা প্রতীকে লড়তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন শহীদুল হক। যদিও তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।