সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করা হবে না।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা দুদিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। সব মিলে পরিস্থিতি এখন কি? এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। আর ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করাটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদের তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। আমরা পরিস্থিতি এখনও পর্যবেক্ষণ করছি।
মন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় আছে, আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলমান। আমাদের এখন প্রথম যে অগ্রাধিকার সেটি হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করা। সেই পরিস্থিতি এখন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে, সেগুলোর জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে। কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে… শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলা হচ্ছে, নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো তো আগে নিশ্চিত করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে খুলে দিয়ে আবারও অরাজকতা করা সেটা যেমন করে হোক চাচ্ছি না কেউই।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা, আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই সেই করা হবে, এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। এখানে একটা অশুভ প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেগুলো বিবেচনা করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহের বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা এবং তৎসংলগ্ন ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে সেগুলোর একটা পরিস্থিতি, আবার অন্য জেলা যেগুলো আছে সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। সেটা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যেহেতু পরীক্ষা সারাদেশে একসঙ্গে হয়। সেজন্য পরীক্ষার বিষয়টা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে এই মুহূর্তে- বলেন মন্ত্রী।
সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকরা কারফিউ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত পাবো সেটা পর্যালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটা অনুরোধ করবো। আলটিমেটাম দেওয়ার পর যখন হত্যাযজ্ঞ হয়, নরহত্যা হয়, গলাকেটে দেওয়ার মতো কাজ হয়, রগ কেটে দেওয়ার মতো কাজ হয়, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়ার মতো কাজ হয় তখন আলটিমেটাম যারা দিচ্ছেন তাদের কাছে তো সবার প্রশ্ন থাকবে, আসলে এসব আলটিমেটামের উদ্দেশ্য কী?