মন্ত্রী-এমপিদের ফেসবুক পেজ ভেরিফায়েড করে দেবে আইসিটি বিভাগ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

এর আগে সাইফুল ইসলাম তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ফেক ফেসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে, ইউটিউব আইডি খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এটা বন্ধে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।

জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা যেখানে সামাজিক যোগাযোগ বা নতুন মাধ্যমে ভুল তথ্য, ফিশিং, মাসকিং এ ধরনের অপরাধ করা হচ্ছে। অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে অনেকের প্রাণহানি হচ্ছে। অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদদের নামে অপপ্রচার হয়। ছাত্রী, বোন, কন্যাদের অনেক ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে অথবা ইমজে ফটোশপ করে অপপ্রচার, মানহানিকর কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যে জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী, কিশোরীকে জীবন দিতে হচ্ছে। সেই জন্য সময়ের প্রয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে।

 

এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠান, তাহলে আমরা তা করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো মাল্টিন্যাশনাল, তাদের অফিসের বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন নেই। এজন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করছি। যাতে করে বাংলাদেশের কোনও ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুমতি না নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে এবং অপব্যবহার করতে না পারে। অভিযোগ করলে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বতন্ত্র এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যয় অন্য দেশের চেয়ে সস্তা। যার অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের। বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ এলাকা ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতাধীন বলেও দাবি করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন ১৯ কোটি সিম ব্যবহারকারী।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের লোকসান ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ অর্থবছরে আয় ছিল ২০১ কোটি ৫ লাখ ও ব্যয় হয়েছে ৯৫৪ কোটি টাকা।

 

মন্ত্রী জানান, সঞ্চয়পত্র বিক্রির কমিশন ডাক অধিদফতরের বড় আয়ের উৎস। সরকারের সিদ্ধান্তে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্রের কমিশন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ করার ফলে আয় ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ফলে ডাক বিভাগের আয় ব্যাপক হারে কমেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে আয় ছিল ১৩০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।