বরিশালের গৌরনদীর হোসনাবাদ গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হস্পতিবার দুপুরে শরিকল ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য মো. নাসির মোল্লার নেতৃত্বে এই হামলায় কামালের পরিবারের ৪জন আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের মজিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোল্লার ভাতিজা ও আগরপুর কলেজের ছাত্র শান্ত মোল্লার বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার হোসনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা চলাকালে আমিনুলের সঙ্গে শান্তর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার আমিনুলকে হোসনাবাদ টেম্পু স্ট্যান্ডে শান্তর চাচা নাসির মোল্লার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন হামলা চালায়। আমিনুল দৌড়ে কামাল হোসেনের বসত ঘরে আশ্রয় নেয়।
কামাল হোসেনের ছোট ভাই কাওছার হোসেন জানান, বিপদগ্রস্ত আমিনুল জীবন রক্ষায় দৌড়ে তাদের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় নাসির মোল্লার নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আমিনুলকে রড দিয়ে পেটায়। তাদের ঘরে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে সন্ত্রাসীরা ঘরের জানালা-দরজা ভাংচুর এবং মালামাল তছনছ করে। এক পর্যায়ে চলে যাওয়ার সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল সহ প্রায় চার লাখ টাকার মাল লুট করে তারা। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাকে (কাওসার), আমার চাচা তালেব সিকদার (৬০) ও চাচি তাসলিমা বেগমকে (৪০) মারধর করে। গুরুতর আহত আমিনুলকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাসির মোল্লা হামলা লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলায় তিনি জড়িত না। ভাতিজা শান্ত লোকজন নিয়ে তার প্রতিপক্ষ আমিনুলকে খুঁজতে গিয়ে সামান্য কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বরং হামলাকারীদের ফিরিয়ে নেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।