পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ও ভারতের কলকাতার প্রবহমান বাংলাচর্চার যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সহযোগিতায় এবং পাবিপ্রবির আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের বিশ্বভারতী ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ড. অর্পনা রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান তপন কুমার মন্ডল, পাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয়।
পাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বভারতী ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ড. অর্পনা রায় বলেন, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য চর্চায় পাবনা অঞ্চল বিশেষ স্থান দখল করে আছে। তিনি বড় পরিসরের কোন সভায় প্রথম বাংলা বক্তব্য পাবনাতেই দেন। ইতিহাস চর্চা একটি জাতিকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য দিক নির্দেশনা দেয় এবং পরিশীলিত চিন্তা করতে শেখায়। ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান তপন কুমার মন্ডল বলেন, বাংলাকে ভাগ করা হলেও আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি এক । সীমান্ত দিয়ে আমাদের পৃথক করা হলেও দুই বাংলার এক সাথে বাংলাসহ সকল কিছু চর্চা করা দরকার।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. সাইফুল ইসলাম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাবিবুল্লাহ ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। সম্মেলনে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ১৭০জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন। ১০টি সেশনে প্রায় দেড়শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।