শপথ শেষে যা বললেন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা

লেখক:
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শপথ শেষে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।

 

ডা. দীপু মনি

বঙ্গবন্ধুকন্যা আবারও আস্থা ও বিশ্বাস রেখে মন্ত্রিসভায় রেখেছেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের। তিনি যখনই আমাকে কোনও দায়িত্ব দিয়েছেন, চেষ্টা করেছি সবটুকু দিয়ে তা পালনের। এবারও সেটা করব।

 

ড. হাছান মাহমুদ 

অবশ্যই চমৎকার মন্ত্রিপরিষদ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ। বিচক্ষণতার সাথে বিবেচনা করে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সাজিয়েছেন। সত্যিই চমৎকার মন্ত্রিপরিষদ হয়েছে। মন্ত্রী হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার, পরিবেশ ও বন এবং এর পূর্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী হাছান মাহমুদ এবার কোন দায়িত্ব পালনে আগ্রহী-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন, সেটি আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। গতবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেটি আমি নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করেছি। এখন যে মন্ত্রণালয়েই দেন আমি নিষ্ঠা, আমার একাগ্রতা, সমস্ত প্রচেষ্টা দিয়ে সে দায়িত্ব পালন করবো।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের যে ইশতেহার, সেখানে কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক চ্যালেঞ্জ আগেও মোকাবিলা করেছি, আশা করি এবারও উত্তরণ হবে।

নাজমুল হাসান পাপন

 

মন্ত্রী হয়েছেন, এখন কি বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইসিসির এখন কতগুলো নিয়ম আছে, ইচ্ছে করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না। কারণ আইসিসির যে কমিটিগুলোতে আমি আছি, আমি আবার চেয়ারম্যানও আছি। ওই দায়িত্বগুলো ওদের টার্ম শেষ হওয়ার আগে করা যায় না। আমার জানামতে, এ বছরের শেষে এসে একটি। আর আমাদের স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে যে আমার এই মেয়াদ শেষ করতে হবে, তাহলে আমার সামনের বছরে যেতে হবে। আমি চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যদি পারি তাহলে ছেড়ে দেব।

জুনায়েদ আহমেদ পলক

 

প্রথমত কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। খুব অল্প বয়সে তিনি তিন বার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করব যাতে সেটা রক্ষা করতে পারি। শ্রম দিয়ে মেধা দিয়ে তিনি যে দায়িত্ব দেবেন, তা পালন করার চেষ্টা থাকবে।

ফরহাদ হোসেন 

 

আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। গত ৫ বছর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে লক্ষ্য থাকবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা রাখা। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা। তার সাথে আবার কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ।