দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি জানিয়েছেন, এ নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
ইসি বলেছেন, সকালে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা দেখেছি। পরে টিভির তথ্য থেকে মনে হয়েছে, সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনা ঘটেনি। তারপরও যা ঘটেছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা গ্রেপ্তার করেছি, মামলা করেছি। শেষ মুহূর্তে দুজন নির্বাচনি কর্মকর্তা মারা গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যান। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
তিনি বলেন, নির্বাচনি সহিংতায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
সিইসি বলেন, কিছু কিছু অভিযোগ এসেছে, ব্যালটে সিল মারার। আমাদের মনিটরিং সেল সেটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। আমরা ক্রস চেক করে যখন দেখেছি, ঠিক তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি। শেষ মুহূর্তে একজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও চূড়ান্ত পার্সেন্টেজ হয়নি। তবে, আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এন্ট্রি হয়েছে যতটুকু, সে অনুযায়ী ৪০ শতাংশ। এটি বাড়তে পারে, নাও বাড়তে পারে।
ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, একটি বড় দল নির্বাচন বর্জন করে ভোট থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। সেজন্য ভোট কিছুটা কম পড়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যালটে সিল মেরেছে। আমরা কিছু ধরেছি, সেগুলোকে চূড়ান্ত গণনা থেকে বাদ দেওয়া হবে। কারণ, সেগুলোর পেছনে সিল বা সাইন নেই।
এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৭ শতাংশ, খুলনায় ৩২ শতাংশ, সিলেটে ২২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ২৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ২৬ শতাংশ, রংপুরে ২৬ শতাংশ ও বরিশালে ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়া বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে সারা দেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়।