জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬ হাজার ২২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজকের উপস্থাপিত ১৪টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে সরকারি অর্থায়ন থেকে ৫ হাজার ৪২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৬৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
দেশের ৩০০ সংসদীয় এলাকার প্রত্যেকটিতে ১০টি করে মোট ৩ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে সরকার। সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও ‘ফিমেল সেকেন্ডারি বৃত্তি’ কর্মসূচি চালুর কারণে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় তাদের জন্য অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে। ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় ১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় বন্যাপ্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প, ১২৭ কোটি ব্যয়ে জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৫৯ কোটি ব্যয়ে।
১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩, বৃহত্তর ফরিদপুর চরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন প্রকল্পে ৩৪৪ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবারাহ প্রকল্পটি ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন পেয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৯ কোটি টাকা। ১৫৭ টাকা দেওয়া হয়েছে বগুড়া উপজেলার সাথে সংযুক্ত চাপাপুরা-বগুড়া, নিমসার-বরুড়া এবং খাজুরিয়া-বরুড়া জেলা মহাসড়ক তিনটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে অন্যদিকে, সাতটি র্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পও ৫৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন পেয়েছে।