বরিশাল নগরীতে ৬৯ হাজার শিশুদের ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

লেখক:
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যম্পেইন উপলক্ষে আজ দুপুরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে সভা কক্ষে সাংবাদিকদের অবহিতকরন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: খন্দকার মনজুরুল ইসলাম (শুভ্র), মেডিকেল অফিসার ডা: সজল পান্ডে, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান আল রোমেল।

১২ ডিসেম্বর দেশেব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্যাপিত হবে। আগামীকাল সকাল ১০ টায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ নগরীর আলেকান্দায় এলাকায় কিশোর মজলিস ক্লাবে উদ্বোধন করবেন।

২২০ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তাছাড়া ভ্রাম্যমান জনগোষ্ঠির জন্য বাসষ্টান্ড, লঞ্চঘাট এবং ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কেন্দ্র থাকবে। এছাড়াও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসে ডেলিভারী প্রকল্প, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এফপিএবি, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, ব্র্যাক, চন্দ্র দ্বীপ, উদয়ন পাঠাগার, সিডিসি, গার্লস গাইড, ওআরডিপি,

সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ওডিপি, মেরি স্টোপস ক্লিনিক, সেন্ট এ্যানেস মেডিকেল সেন্টার সহ মোট ১৬ টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০ জন কর্মী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের ৯০০০ জন শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৬০,০০০ জন শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

এই ক্যাম্পেইনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ী-বাড়ী পরিদর্শনের মাধ্যমে ভিটামিন “এ” এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ন নিরাপদ। তবে ভরা পেটে খাওয়া ভাল।

যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে সেই শিশুকে ক্যাম্পেইনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে কর্মী থাকবেন। ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অনলাইনে সুপারভিশন হবে।