মোরাসালিনের গোলে শক্তিশালী লেবাননকে রুখে দিলো বাংলাদেশ

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

পাঁচ মিনিট আগেই গোল হজম করেছে। কিংস অ্যারেনার গগণবিদারি গর্জন রূপ নেয় শশ্মানে। তখনই অবতার হয়ে আসেন নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা শেখ মোরসালিন। ডি বক্সের বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো জোরালো শটে ম্যাচে ফেরান মোরসালিন।

 

কিংস অ্যারেনায় মঙ্গলবার ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ-লেবানন। দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ১টি করে হার ও ড্র। আর দুই ম্যাচ খেলেই ড্র করেছে লেবানন।

 

প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার লেবাননের ডি বক্সে উঠেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। র‌্যাংকিংয়ে ১০৪ নাম্বারে থাকা লেবানিজদের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। মাঠ ছাড়তে হয় গোলশূন্য ড্র নিয়ে।

বিরতি থেকে ফিরে লেবানন বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে। বাংলাদেশকে কিছুটা খাপ ছাড়া মনে হচ্ছিল। হ্যাভিয়ের কাবায়েরো জামালকে উঠিয়ে মাঠে নামান রবিউল হাসানকে। এর মধ্যে ৬৭ মিনিটে ওসমান গোল দিয়ে বসেন।

 

জটলার মধ্যে বল বাঁচাতে বদলি গোলরক্ষক শ্রাবণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে পারেননি। খালি পোস্ট পেয়ে যান ওসমান। বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাকে। আলতো শটে বল জড়িয়ে দেন স্বাগতিকদের জালে।

পাঁচ মিনিট অপেক্ষা। উল্লাসে ভাসে লাল-সবুজের দলও। ডি বক্সের ডান দিকে বল পেয়ে কোনাকুনি নিখুঁত এক শটে বল জালে জড়িয়ে দেন মোরসালিন। ১-১ গোলে সমতা আনে বাংলাদেশ।

শেষ দিকে আরও একটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মোরসালিন। বাঁ দিকে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু ফিনিশিং করতে পারেননি। বল মেরে দেন বাইরে। লেবানন আর চেষ্টা করেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশ মাঠে ছাড়ে গুরুত্বপূর্ণ ১ পয়েন্ট নিয়ে।

 

পুরো ম্যাচ জুড়েই দারুণ ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। বল নিয়ন্ত্রণ, অসাধারণ ড্রিবলিং আর নিখুঁত পাসে বারবার ফাঁকি দিয়েছিলেন লেবানিজদের। তবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে একজন নিখুঁত নাম্বার নাইনের অভাবে।

 

 

এই ম্যাচে খেলতে পারেননি সাদ উদ্দিন ও রাকিব হোসেনের মতো পরীক্ষিত ফুটবলাররা। প্রথমার্ধ শেষে মাঠে নামতে পারেননি গোলরক্ষক মিতুল চাকমা। পরিবর্তে আসেন শ্রাবণ।

ড্র দিয়ে এই বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরবেন জামাল-মোরসালিনরা।