হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার লামাতাসী গ্রামে মাচায় শিম ও মাচার নিচে আদার চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষক মো. আব্দুল্লাহ মিয়া। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফসল প্রদর্শনীতে মাচায় গ্রীষ্মকালীন শিম ও মাচার নিচে আদা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ওই কৃষক।
সরেজমিন গেলে কৃষক মো. আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, প্রায় ২০ শতক জমিতে ফসল করে আসছিলেন। কিন্তু ভালো ফলন পাচ্ছিলেন না। অতঃপর দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি মাচা তৈরি করে শিম ও মাচার নিচে আদা চাষ করেন। গ্রীষ্মকালীন শিম বিক্রি করে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আশা করছেন আদা বিক্রি থেকে আরও ৪০ হাজার টাকা পাবেন। এসব চাষে তার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শিম বিক্রি প্রায় শেষের পথে। আদা বিক্রি করতে আরও কিছুদিন লেগে যাবে।
আদা ও শিম ছাড়া একই জমিতে তিনি লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। এখানে খরচ বাদে তার ৮০ হাজার টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, চেষ্টা ও শ্রমের মাধ্যমে সফলতা আসে। কৃষক মো. আব্দুল্লাহ মিয়া স্বল্প জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে সফলতার প্রমাণ দেখিয়েছেন। আমরাও নিজ নিজ জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করতে আগ্রহী।
উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, ‘কৃষক মো. আব্দুল্লাহ মিয়া জমি আবাদ করে মাচা তৈরি করে শিম ও মাচার নিচে আদা চাষ করেন। পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করে সফলতা পান। আমি কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। কৃষকরা আমার পরামর্শ নিয়ে ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন।’