নিউ জিল্যান্ডকে ১৯০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
আজ বুধবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রোটিয়ারা আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান করে। জবাবে ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। ১৯০ রানের বিশাল জয়ে শেষ চারের দৌড়ে ভালোভাবে এগিয়ে থাকলো বাভুমা-ডি ককরা।
এই জয়ে ৭ ম্যাচের ৬টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে ভারতকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
নিউ জিল্যান্ড আজ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। ১০০ রানে যেতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। ডেভন কনওয়ে ২, রাচীন রবীন্দ্র ৯, উইল ইয়াং ৩৩, টম লাথাম ৪, ড্যারিল মিচেল ২৪ ও মিচেল স্যান্টনার ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন।
সেখান থেকে লড়াই করেন গ্লেন ফিলিপস। কমান ব্যবধান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৪টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় করেন ৬০ রান। তার আগে টিম সাউদি ৭, জিমি নিশাম ০, ও ট্রেন্ট বোল্ট ৯ রান করে আউট হন। ম্যাট হেনরি শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে কেশভ মহারাজ ৯ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। মার্কো জানসেন ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। জেরাল্ড কোয়েটজে ৬.৩ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
ম্যাচসেরা হন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ফন ডের ডুসেন।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানেই অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় প্রোটিয়ারা। তিনি ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হন। সেখান থেকে দলকে টেনে নিতে থাকেন ডি কক ও ডুসেন। তারা দুজন হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের তুলোধুনে করে ডি কক তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ছুঁয়ে ফেলেন এক বিশ্বকাপে চার সেঞ্চুরির কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ড।
অবশ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরিটিকে বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ৪০তম ওভারে দলীয় ২৩৮ রানের মাথায় ফেরেন ডি কক। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় করে যান ১১৪ রান। আর ডুসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করে যান ২০০ রান ১৮৯ বলে।
এরপর ডুসেনও তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় সেঞ্চুরি করার পর মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। ৩১৬ রানের মাথায় গিয়ে ফেরেন ডুসেন। যাওয়ার আগে ১১৮ বলে ৯টি চার ও ৫ ছক্কায় করে যান ১৩৩ রান। আর হেনরিক ক্লাসেনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করে যান ৪৩ বলে ৭৮ রান।
ডুসেন ফেরার পর ঝড় তোলেন ডেভিড মিলার। মাত্র ২৯ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। অবশ্য এরপর আউট হন শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। ৩০ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
নতুন ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ৩৫৭ তে। ক্লাসেন ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।
বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে ২টি উিইকেট নেন। ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৯ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। আর জিমি নিশাম ৫.৩ ওভারে ৬৯ রানে নেন ১টি উইকেট।