সেই কুমিরের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ৩ মাস পর

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বাগেরহাটের খানজাহান আলীর (রহ.) দীঘির পুরুষ কুমিরটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে তিন মাস পর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান এতথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিরটির ময়নাতদন্তের জন্য শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। পরে দীঘির উত্তর পাড়ে কুমিরটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক ডা.লুৎফর রহমান বলেন, ২০২১ সালের ১২ জুন এই কুমিরটি একবার অসুস্থ হয়েছিল। তখন চোখ ও মাথায় কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল। আমরা চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করেছিলাম। কুমিরটির মৃত্যুর পর এর দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে আনুমানিক তিন মাস সময় লাগবে। তখন প্রাণীটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।

 

 

খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারের প্রধান খাদেম ফকির শের আলী বলেন, মৃত্যুর আগে পুরুষ কুমিরটিকে মোস্তফা ফকির নামে একজন তার পুকুরের ভেতর ৭ মাস আটকে রেখেছিলেন। সেখানে তিনি কুমির দেখিয়ে দর্শণার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। পুরুষ কুমিরটি যাতে তার পুকুর থেকে বের হয়ে না যায় সেজন্য নিয়মিত ঘুমের ওষুধ দেওয়া হত। এজন্যই কুমিরটির মৃত্যু হয়েছে বলে আমার ধারণা। আমি কুমিরের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের দাবি করছি।

তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নমুনা সংগ্রহ শেষে আমরা দীঘির উত্তর পাড়ে কুমিরের মরদেহটি মাটিচাপা দিয়েছি। পুরুষ কুমিরটির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর নারী কুমিরটি বর্তমানে দীঘিতে রয়েছে।