বরিশালের বাজারে আলুর সংকট, কমেছে সরবরাহ

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বরিশালের আড়ৎগুলো এখন অনেকটা আলু শূন্য অবস্থায়। সরকার ৩৬ টাকা দরে আলু বিক্রি বেঁধে দেয়ায় কেনা ও যাতায়াত খরচ আর ঘাটতি মিলিয়ে কেজি প্রতি উল্টো আড়াই টাকা লোকসান হয়। অপরদিকে কোল্ডস্টোরে মালিকরা আলু বিক্রি করছে না বলে ব্যাপারীর আলু পাচ্ছে না। এজন্য সপ্তাহ ধরে আলু আসা বন্ধ রয়েছে।

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে কোথাও আলু বিক্রি হয় না। বরিশালও এর ব্যতিক্রম নয়। উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যায়ের সবখানেই এখন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজি। এখানে বাজার তদারকও করে না প্রশাসন।

এদিকে বরিশালে আলুর সরবরাহও কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার বস্তা আলু আসতো, এখন আসে মাত্র ৫০০ বস্তা। এ কারণে বাজারে দেখা দিয়েছে আলুর সংকট।

মুন্সিগঞ্জ থেকে আলু নিয়ে আসা ব্যাপারীরা জানান, কোল্ডস্টোরে পর্যাপ্ত আলু থাকলেও মালিকদের পাওয়া যাচ্ছে না। আলুর এই সংকটে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বরিশালের আড়ত মালিকরা।

ডিম কিছুটা নাগালে এলেও আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়তিডিম কিছুটা নাগালে এলেও আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়তি
এ নিয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক বলেন, বরিশালে আলুর ঘাটতি দেখা দিলে যেসব জেলায় পর্যাপ্ত আলু আছে সেখান থেকে আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, যেসব জেলায় বেশি আলু উৎপাদন হয়, সেসব জেলার প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ আছে। এসব জেলায় নির্ধারিত মূল্যেই আলু বিক্রি হচ্ছে, এমন তথ্য আছে। সরবরাহে সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

বরিশালে বছরে আলুর চাহিদা এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে ৬২৮ হেক্টর জমিতে ১২ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। বাকি আলুর সিংহভাগ আসে মুন্সীগঞ্জ থেকে।