মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরানজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় ইরানজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। আমিনির বাবাকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশ্য বেশ কয়েক জন ‘প্রতিবিপ্লবী’ ও ‘সন্ত্রাসীকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

 

হিজাব আইন মেনে না চলায় গত বছর সেপ্টেম্বরে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ২২ বছরের মাহসা আমিনি। মাহসাকে হেফাজতে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হেফাজতেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মাহসার মৃত্যু ঘিরে ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মৃত্যু কামনা করে কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আন্দোলন ছিল এটি। বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয় বলে দাবি করে অধিকার সংগঠনগুলো।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, শনিবার মাহসার প্রথম বার্ষিকীতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় ইরানের কুর্দি অঞ্চলে বিপুল সংখ্যা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

 

আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ইরানে আমিনির নিজ শহর সাকেজে ‘পুলিশের সতর্কতা উপেক্ষা’ করায় নিরাপত্তা বাহিনীর পেলেট বন্দুকের গুলিতে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে রাজধানী তেহরানের পশ্চিমে কারাজ শহরের পার্শ্ববর্তী গোহারদাশত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে।

 

কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, মাহসার বাবা আমজাদ আমিনিকে মুক্তি দেওয়ার আগে তার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।