পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য কেনা হচ্ছে মোবাইল ক্রেন

লেখক:
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনালের জন্য মোবাইল হারবার ক্রেইন ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এই ক্রেন সরবরাহ করবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

 

সূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ৪৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপিতে ক্রেন স্থাপনের কাজটি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত থাকলেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধি-৮৪ ক (২) অনুযায়ী হোপ এর অনুমোদনক্রমে একধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এটি ক্রয় পরিকল্পনায় জিডি-৫ প্যাকেজ এ অন্তর্ভুক্ত, যার বিপরীতে ৮০ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে। এ কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ৮০ কোটি টাকা।

 

সূত্র জানায়, কাজটি সম্পাদনের লক্ষ্যে পিপিআর-২০০৮ অনুসরণে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং সিপিটিইউ-এর ওয়েবসাইট ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ‘ডিজি মার্কেট’ এ প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করে। দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত দিনে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।

দরপত্র উন্মুকরণ ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) গঠন করা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, ঢাকা,  নানাটং রেইনবো হেভি মেশিনারিজ, চায়না, সানি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, হংকং। এর মধ্যে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নানাটং রেইনবো হেভি মেশিনারিজ, চায়না এবং সানি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, হংকংকে কারিগরিভাবে নন-রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। দরপত্রের সব শর্ত পূর্ণ করায় সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে কমিটি টেকনিক্যালি রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা পরবর্তীতে হোপ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

 

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে বলা হয়, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের দাখিল করা দর ১০৯ কোটি ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৭০ টাকা গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড জারি করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, মোট উদ্ধৃত দর প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ৩৬.৯১ শতাংশ বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার ব্যাখ্যায় জানানো হয়েছে, ডিপিপি প্রণয়নের সময় ইউরোর দর ছিল বাংলাদেশি টাকায় ৯৭.৩৫ টাকা যা ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে দাঁড়িয়েছে ১১৭.৯৭ টাকা অর্থাৎ ২১.১৮ টাকা। এছাড়া শিল্পের কাঁচামাল ও জাহাজের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। টিইসি মোবাইল হারবার ক্রেনের জরুরি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ডিপিপি প্রণয়নকালের প্রাক্কলন অপেক্ষা ৩৬.৯১ শতাংশ বেশি দরে ক্রয় প্রস্তাব গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

সূত্র জানায়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিলে দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হবে এবং ক্রেন সংগ্রহের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জাতীয়প্রচ্ছদপ্রশাসন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৫ years ago